গামেন্টর্স শ্রমিক, দিনমজুর. কষ্ট করে খেটে খাওয়া মানুষ, মোটামোটি অশিক্ষিত (প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা) মানুষের ভালবাসা গুলো সত্যিই বিশাল আর ভালবাসাই.. পরশু টেম্পুর অপর দিকে চারজন মানুষ, দুটি শ্রমিক (মেয়ে+ছেলে ২১/২২) আর তারপাশেই আর দুজন (মেয়ে+ছেলে ২৪/২৫-২৬) প্রেমিক-প্রেমিকাদ্বয়ের দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, শ্রমিক কিন্তু সত্য ভালবাসা চোখে পড়েছিলাম, তারা হয়তো পাশের দুজনের মত অতটা শিক্ষিত নয়, গামেন্টস শ্রমিক তাদের কথায় স্পষ্ট ছিলাম বেড়াতে যাচ্ছিল কোথাও, কিন্তু চোখের মধ্যে দুজনেই জন্য দুজনের স্পষ্টতা যে প্রবল তা ভালই বুঝি আমি.। আর পাশের দুজন অনেকটা বোঝাবার চেষ্টা করছিল আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা কিন্তু সত্যি বলতে দুজনের চোখেই ছিল পালানো এক নেশা (যদি ধরা পড়ে যাই, যদি ধরা পড়ে যাই)। অতি মিষ্টিবাসী আর স্মার্ট হলেও ভালবাসাটা কতটুকু সীমাবদ্ধ তা বোঝার ক্ষমতা অনতত আমার আছেই.. স্মাট, সুন্দর শিক্ষিত হলেই যে আপনি ভালবাসতে জানেন, তাকে ভালবাসা যাবে এমন নয়, এটি একটি স্বর্ণের টুকরার মত আপনাকে স্থির রাখতে হবে আপনি তাকে হারাতে চান না, তার নিরাপত্তা ভাবেন, তাকেই চান শুধু তাহলে গামেন্টস শ্রমিক কিংবা দিনমজুরদের মত চূড়ান্ত ভালবাসার দেখা পাবেনই আপনি.। আশেপাশে খোঁ জ নিয়ে দেখুন তারা কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করে, খুব চিন্তা করে কিন্তু ভালবাসার বিন্দুমাত্র কমতি তাদের মাঝে পাবেননা। আর আমরা যারা কথিত শিক্ষিত, স্মাট সুশীল তাদের সবসময় কি এক তাড়া যেন পালালেই বাঁচি, আগলে রাখাটা বিছানায় সীমাবদ্ধ, কেয়ারিং বিষয়গুলো কেন জানি ওই রাতেই জাগে, সবকিছুর চিন্তা শুধু তাকে দেখলেই বা তার কল আসলেই কিংবা মন চাইলেই হয়, সবসময়ই হয়না। কিন্তু গামেন্টর্স ওই মেয়েটা বা ছেলেটা ভিন্ন.! হার ভাঙা পরিশ্রম করার পর কি এক আত্মতৃপ্তি নিয়ে দাড়িয়ে থাকে একসাথে বাসায় যাওয়ার জন্য একটু একটু সময় দুজনকে দুজন দেওয়ার জন্য.! এজন্যই এদের সুখটা স্থায়ী আর ভালবাসাটার বন্ধন দৃঢ় চির হয় যেটা আমাদের সুশীলদের কখনই হয়না... ভালবাসুন একজনকেই সবকিছু দিয়ে যদি তা না পারেন নিজেকে নিজের মত করে গুছিয়ে রাখুন পরিবারের জন্যে মন ভাঙবেন না, ভাঙাবেনও না ভালবাসুন নিজেকে, অপরকে, প্রিয়তম, প্রিয়তমাকে শ্রমিকদের মত সব উজার করে দিয়ে.. ভালবাসা দিয়ে জয় হোক বিশ্ব....