স্বাধীনতার ৫০ (পঞ্চাশ) বছরেও এসে আমরা বাঙালী জাতি এখনো জানিনা দেশের জাতীয় পতাকা তোলার সময় কিংবা যেকোন স্থানে জাতীয় সংগীত শোনার সময় সম্মানার্থে দাঁড়াতে হয়.!

কি নির্লজ্জ আর অশিক্ষিত জাতি আমরা.? সবচেয়ে মজার বিষয় যেটা দেখতে পেলাম এই জাতীয় সংগীত, এই পতাকা নিয়ে আমাদের শিক্ষিত সমাজেরও কেন জানি অনীহা, কেন জানি তাচ্ছিল্য একটা ভাব কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সময়ে (অধিকাংশের বেশি, সবাই না)। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বেশিরভাগকেই দেখলাম জাতীয় সংগীতের সময় দাঁড়িয়ে মোবাইলে টাইমলাইন স্ক্রল বা অন্য কাজ সারতে.! 

আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকের মাঝে সেই একই জিনিসটা আজকাল লক্ষণীয় বটে; তাদের অধিকাংশই যেন জাতীয় সংগীত না গাইতে পারলে বাঁচে কিংবা জাতীয় পতাকাকে সম্মান করার জন্য দাঁড়াতে কেন জানি অনেক বেশি কষ্ট হয়.! কিন্তু আমরা যখন স্কুলে কিংবা কলেজে পড়তাম দেখতাম আমাদের পিটির (শারীরিক ব্যায়াম ও পতাকা উত্তোলনের) সময় শিক্ষকরা আমাদের  পতাকা উত্তোলনের অনতত ৫মিনিট আগে আসতে বলতেন , জাতীয় সংগীতে পরিবেশনের বিভিন্ন ভুল ধরিয়ে দিতেন কিন্তু আজ আমরা উন্নতি শিখরে পৌঁছে যাচ্ছি ঠিকই কিন্তু অন্যদিকে আমাদের মূল অস্তিত্বক বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছি ; তাই নয় কি.?

পতাকা ও জাতীয় সংগীত অবমাননা সম্পর্কে কি আর বলব.? যেকোন দিবসে যে যার ইচ্ছেমত পতাকা তুলছে, পতাকা বিক্রি করছে, পতাকা লাগাচ্ছে যেখানে খুশি সেখানে। মাথায়, কোমড়ে, হাতে যার যেখানে ইচ্ছে পতাকা পরছে। যেকোন দিবস হোক আর না হোক ইচ্ছেমত রাত-দিনে জাতীয় সংগীত বাজাচ্ছে.! 

লক্ষ লক্ষ শহীদের বিসর্জনের অর্জন এই পতাকা আর জাতীয় সংগীতকে আমাদের এই সম্মান এই শ্রদ্ধা.? 

আমাদের পতাকা, আমাদের জাতীয় সংগীত আমাদের গর্ব, শ্রদ্ধা আর ভালবাসার জায়গা। পৃথিবী যেকোন স্থানে এই দুটি জিনিসই আপনাকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিবে আর কিছু নয়। আসুন জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাকে আমরা সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। মাটি ও মায়ের কাছে নিজেদের সবোর্চ্চ সম্মানটুকু উজার করে দিয়। আর যেখানে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননা হবে তাদের প্রতি সোচ্চার হই, তাঁদের বুঝিয়ে বলি। তাহলে আমার দেশকে আমি সত্যিকারের মতই ভালবাসতে পারব তার আগে নয় আর মনে প্রাণে সবসময় ধারণ করি;

“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি”